প্রকাশিত: Wed, May 29, 2024 3:26 PM
আপডেট: Sun, Jun 1, 2025 5:47 AM

বাংলাদেশের জাতীয় কবিত্ব একটি স্ববিরোধী সিদ্ধান্ত!

মাসুদ রানা

শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক রবীন্দ্রনাথের আমার সোনার বাংলাকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নির্ধারিত করা। কিন্তু জাতীয় কবি হিসেবে তাঁর পরিবর্তে কাজী নজরুল ইসলামকে নির্বাচিত করা একটি স্ববিরোধী সিদ্ধান্ত। কোনো সত্তায় স্ববিরোধিতা থাকলে তা টেকসই হয় না। তাই আমরা প্রায়শ জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের আওয়াজ শুনি। যদিও এ-দাবি এখনও পর্যন্ত ক্ষীণকণ্ঠ ও প্রথমিকভাবে মুসলিম ধর্মবাদীদের, কিন্তু সুযোগ পেলেই এটি উচ্চকণ্ঠ হয়ে উঠতে পারে। আমি ব্যক্তিগতভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের কাব্য ও গীতির অনুরাগী। 

কিন্তু আমি মনে করি, এদের দুজন বাঙালী হলেও, তাঁরা বাঙালী জাতীয়তাবাদের কবি নন, বরং ভারতীয় জাতীয়তাবাদের কবি। তবে এটি ঠিক যে, ভারতীয় জাতীয়তাবাদী হলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালী হওয়ার কারণে এবং বাংলাভাষা তাঁদের প্রকাশ মাধ্যম হওয়ার কারণে তাঁরা  উভয়ই বাংলা দেশ ও ভাষার প্রতি গভীর প্রেম প্রকাশ করেছেন এবং সেখান থেকে বাঙালীর জাতীয়তাবোধ সমৃদ্ধ হয়েছে। কিন্তু এ-দু'জনের কেউই বাঙালীকে একটি স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে বাংলায় প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন বাঙালী জাতি-রাষ্ট্রে অধিষ্ঠিত দেখতে চাননি। 

আমি মনে করি, রাজনৈতিক জাতিত্বের প্রশ্নে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম উভয়ই ভ্রান্ত (ৎিড়হম) এবং এমনকি বিভ্রান্ত (পড়হভঁংবফ)। ইতিহাস প্রমাণ করেছে যে, বাঙালীর মূল ধারা নিজেকে একটি স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে মনে করে, যা কখনও কল্পিত ভারতীয় জাতি কিংবা পাকিস্তানী জাতির অধীনস্থ হওয়ার নয়। বাঙালী জাতির সঠিক রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক-সাংস্কৃতিক নেতৃত্ব ছিলো না বলে সে তার বৃহৎ দেশ হারিয়েছে। অধিকাংশ বাঙালী মুসলমান ধর্ম পরিচয়ে পাকিস্তানের অধীনস্থ হয়েছিলো এবং অধিকাংশ বাঙালী হিন্দু ভারতের অধীনস্থ হয়ে এখনও আছে। ২৭/০৫/২০২৪। লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড